ডারবান টেস্টের চারদিন ম্যাচে সমান-সমান লড়াই করার পর পঞ্চম দিন সকালে মুখ থুবড়ে পড়েছিল বাংলাদেশের ব্যাটিং। ৫৫ মিনিটে অলআউট হতে হয় ৫৩ রানে। ২২০ রানে সেই ম্যাচে হারের পর মুমিনুল হক বলেছিলেন আরামে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে তার দল। কিন্তু পোর্ট এলিজাবেথ টেস্টেও সেই ডারবানের আভাস। রোববার (১০ এপ্রিল) তৃতীয় দিন শেষেই বড় হারের শঙ্কা বাংলাদেশ শিবিরে। ৪১৩ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শেষে বিকেলে মাত্র ২৭ রানে হারিয়ে ফেলেছে ৩ উইকেট। বাংলাদেশ এখনো পিছিয়ে আছে ৩৮৬ রানে। কাল চতুর্থ দিন সকালে বাংলাদেশের জন্য অপেক্ষা করছে অগ্নি পরীক্ষা। প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেটে ১৩৯ রান নিয়ে আজ দিন শুরু করে বাংলাদেশ। মুশফিক-ইয়াসির জুটিতে শুরুতে ভালো বার্তা দিলেও শেষ পর্যন্ত মুখ থুবড়ে পড়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং।
৪৬ রানে ইয়াসির আউট হওয়ার পরও ক্রিজে ভরসা হয়ে ছিলেন মুশফিক। চার মেরে হাফ সেঞ্চুরি করে সেই আভাসই দিয়েছিলেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল। কিন্তু হঠাৎ করে তার যেন কী হয়ে যায়। রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে ৫১ রানে ফেরেন বোল্ড হয়ে। দলের এমন মুহুর্তে মুশফিকের এমন শট গোয়ার্তুমি ছাড়া আর কিছুই নয়। মুশফিক ফেরার পর যা হওয়ার কথা তাই হয়েছে। ৭ রানে পড়ে যায় বাকি ৩ উইকেট। ২১৭ রান অলআউট হয় সফরকারীরা। ২৩৬ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে খেলতে নেমে দ্রুতগতিতে রান তোলে প্রোটিয়ারা। ৬ উইকেটে ১৭৬ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে।
বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য দাঁড়য় ৪১৩ রান। বাংলাদেশ খেলতে নেমে প্রথম ওভারে জয়ের উইকেট হারায়। এরপর একে একে ফেরেন শান্ত-তামিম। তামিমের আউটে ইনিংস ঘোষণা করে প্রোটিয়ারা। প্রথম ওভারেই মহারাজের ঘূর্ণিতে জয় ফেরেন শূন্য রানে, আর শান্ত ৭ রানে। এর আগের ইনিংসেও জয় ফেরেন প্রথম ওভারে শূন্য রানে। দুই ইনিংসে জোড়া শূন্য এর আগে ছিল জাভেদ ওমর বেলিমের। ২০০৭ সালে ভারতের বিপক্ষে তিনি আউট হয়েছিলেন রানের খাতা খোলার আগেই। ১৩ রানে তামিম পরাস্ত হন হার্মারের ঘূর্ণিতে। তার আউটের পরেই খেলার সমাপ্তি টানেন আম্পায়ার। ক্রিজে আছেন মুমিনুল হক (৩)। এখনো এই টেস্টের দুই দিন বাকি। বাংলাদেশ কি লড়াই করতে পারবে নাকি ডারবানের মত প্রথম ঘণ্টায় অলআউট হবে? পরিস্থিতি বলছে তাই।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।